চুরি করে ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি করা হয়েছিল: পুলিশ

চুরি করে ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি করা হয়েছিল: পুলিশ

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন



 কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে, বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির একসেস দেয়া হয়।

পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশি বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা মি. রহমান জানান, ২০২২ সালের চৌঠা অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।”

পুলিশের দাবি, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এনআইডির তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক মামলার পর ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এ মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০ জন আসামি আছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ

Post a Comment

Previous Post Next Post